কোপায় মেসির সমকক্ষ কেউ নেই।

 




রেকর্ডটা প্রায় তিন বছর ধরে আরেকজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হচ্ছিল। কিন্তু খেলোয়াড়ের নাম যখন লিওনেল মেসি, তখন রেকর্ডটা তাঁর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। অবশেষে সেটাই হলো!




আজ কানাডার বিপক্ষে কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নেমেই আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হয়ে গেলেন এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার। কোপার সাতটি আসরে খেলা মেসির এটি ছিল ৩৫তম ম্যাচ। এই রেকর্ডে মেসি পেছনে ফেলেছেন চিলির প্রয়াত গোলকিপার সের্হিও লিভিংস্টোনকে, যিনি ১৯৪১ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে সাতটি আসরে ৩৪ ম্যাচ খেলেছিলেন।




মেসির নতুন রেকর্ডের দিনে, কানাডার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। দুটি গোলেই অবদান রেখেছেন মেসি, তবে নিজে একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। ম্যাচে ৬৫ শতাংশ বল দখলে রেখেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এবং শট নিয়েছে ১৯টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯টি। মেসির অবিশ্বাস্য কিছু মিসের কারণেই জয়ের ব্যবধান আর বাড়েনি।




কোপা আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার





সেটা কেন হয়নি, ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মেসি বলেছেন, “আমাদের জন্য আজ জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। বেশির ভাগ প্রতিদ্বন্দ্বীই আমাদের চেয়ে ভিন্নভাবে খেলে। বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে এবং এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিয়ে যেতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হয়েছে। আগামী ম্যাচগুলোতেও আমাদের ধৈর্য ধরে রেখে খেলা চালিয়ে যেতে হবে এবং সুযোগ পেলেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।”






ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে আর্জেন্টিনা শীর্ষে, আর কানাডা ৪৮তম স্থানে। শক্তিমত্তা ও সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা একটি দলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা নিশ্চয়ই আরও বড় জয় আশা করেছিলেন।




কানাডা যে সহজে আর্জেন্টিনাকে জিততে দেবে না, সে ধারণা নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন মেসি, “আমরা জানতাম কঠিন এক ম্যাচ হতে চলেছে। তারা শরীরী ফুটবল খেলবে। প্রথমার্ধে খুব কম জায়গা পেয়েছি। সৌভাগ্যক্রমে আমরা দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুত লক্ষ্য খুঁজে পেয়েছি। তারপরও কাজটা কঠিন ছিল।”


Post a Comment

Previous Post Next Post