ইলেকট্রন আসক্তি কী? ফ্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি ক্লোরিন অপেক্ষা কম -ব্যাখ্যা কর।

**ইলেকট্রন আসক্তি** বলতে বোঝায় কোনও নিরপেক্ষ অবস্থায় থাকা একটি পরমাণু যখন একটি অতিরিক্ত ইলেকট্রন গ্রহণ করে তখন যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। এটি পরমাণুর ইলেকট্রন গ্রহণ করার ক্ষমতার একটি পরিমাপ। উচ্চ ইলেকট্রন আসক্তি মানে পরমাণুটি অতিরিক্ত ইলেকট্রন গ্রহণ করতে সক্ষম এবং সেই সময়ে শক্তি মুক্তি পায়।

**ফ্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি ক্লোরিন অপেক্ষা কম** - এটির ব্যাখ্যা করার জন্য কিছু কারণ বিবেচনা করতে হবে:

1. **আকার এবং পারমাণবিক সংখ্যা**: ফ্লোরিন এবং ক্লোরিন উভয়ই হ্যালোজেন গ্রুপের সদস্য। ফ্লোরিন আকারে অনেক ছোট এবং এর পারমাণবিক সংখ্যা কম (ফ্লোরিন - 9, ক্লোরিন - 17)। এর ফলে ফ্লোরিনের পরমাণুতে ইলেকট্রন-ইলেকট্রন বিযুক্তি (repulsion) বেশি হয়। ফলে অতিরিক্ত ইলেকট্রন গ্রহণের সময় শক্তির মুক্তি কম হয়।

2. **ইলেকট্রন-ইলেকট্রন বিযুক্তি**: ফ্লোরিনের আয়তন ছোট হওয়ার কারণে তার ইলেকট্রন শেলগুলিতে ইলেকট্রন-ইলেকট্রন বিযুক্তি বেশি হয়। এর ফলে ফ্লোরিন অতিরিক্ত ইলেকট্রন গ্রহণ করার সময় বিযুক্তির জন্য বেশি শক্তি প্রয়োজন, যা ইলেকট্রন আসক্তি কমায়।

3. **পরমাণুর স্থিতি**: ফ্লোরিন পরমাণুর কেন্দ্রীয় নিউক্লিয়াসে পজিটিভ চার্জ বেশি হলেও এর ছোট আকারের কারণে, নতুন ইলেকট্রন নেওয়ার সময় এর স্থিতিতে বিঘ্ন ঘটে এবং তাই ফ্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি তুলনামূলকভাবে কম হয়।

অন্যদিকে, ক্লোরিনের পারমাণবিক সংখ্যা বেশি এবং এর আয়তনও ফ্লোরিনের তুলনায় বড়। তাই ইলেকট্রন-ইলেকট্রন বিযুক্তি তুলনামূলকভাবে কম এবং নতুন ইলেকট্রন গ্রহণ করার সময় শক্তি কম খরচ হয়, ফলে এর ইলেকট্রন আসক্তি বেশি হয়।

1 Comments

Previous Post Next Post